মুক্তির কিছু কথা

যুগে যুগে সুবিধাবাদী অর্থ ও ক্ষমতালোভী শিক্ষিত/অশিক্ষিত একশ্রেনীর হীন মন মানসিকতা সম্পন্ন অরাজনৈতিক/অসামাজিক নরকের কীট মুক্তিযুদ্ধ/স্বাধীনতা/মানবতাবিরোধী/জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ব্যানার ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের শাসনামলে প্রশাসনিক সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে ইতোমধ্যে নিজেদের আখের গুটিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই আওয়ামী লীগের ব্যানারে অনলাইনে কাজ করে নিজেকে তুলে ধরেছে একজন আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার মূখপাত্র হিসেবে। কিন্তু মূলতঃ কাজ করেছে নিজের আত্বপ্রকাশের পথ প্রশস্থ করার জন্য। যা’ আওয়ামী লীগ বা জননেত্রী শেখ হাসিনাও বুঝে উঠতে পারেন নি।mosharraf ff

অন্যদিকে নিজস্ব বস্তাপচা ধ্যান ধারনা বগলে লুকিয়ে রেখে তা’ আওয়ামী লীগের বিকল্প প্লাটফর্ম তৈরী করার দুরভিসন্ধি/লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছে। সাধারন গন মানুষের চেতনায় আঘাত হানার জন্য চির বাংলার লোকজ আদি শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির বলয়কে রাস্তায় নামিয়ে নর্তকীর প্রলয় নাচন দেখিয়ে নূতন প্রজন্মের শিশু কিশোরদের ব্যর্থ সুরসুরী দেবার চেষ্টা করেছে। মহান স্বাধীনতা/মুক্তিযুদ্ধ/বঙ্গবন্ধু প্রতিনিয়ত বাঙ্গালীর চেতনায় দেহের প্রতিটি অংশে চলায় বলায় কাজে কর্মে/মননে গুঞ্জরিত হয়। তাই এ স্পর্শকাতর সূক্ষ্ম ও তীক্ষ্ম রাজনৈতিক কৌশলী ছুড়ি দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করার অপচেষ্টায় মাঠে নেমেছিল।

মানবতাবিরোধী নৃশংসতা/খুন/ধর্ষণ/লূন্ঠন/জ্বালাও পোড়ানোর মত অরাজকতার বিরুদ্ধে বাঙ্গালী জাতি আজীবন প্রতিবাদে অত্যন্ত সচেতন মূখর। তাই সকল পেশার মানুষ তাদের সমর্থন দিয়েছিল। এমন কি বহু অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠান আর্থিক ও খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করে উৎসাহিত করেছেন অসংখ্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বর্ণাঢ্য ব্যক্তিরা। ওরা সে অর্থ লুন্ঠন করেছে। ওরা বয়াতির গানে লোক জড়ো করে নিজহস্তে তৈরী “শ্রীপুরের বাতের বড়ি” বিক্রয় করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়েছিল।

আমরা সে গজার মতো গজাইল হয়ে ন্যাক্ক্যারজনক কাজ করে জনগণের ধিক্কার নিতে চাইনা। নেবোওনা। আমাদের কাজ একান্তই জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু, মহান মুক্তিযুদ্ধ/স্বাধীনতা ও আদি বাংলার আদি প্রাগৈতিহাসিক ইতিব্রিত্ত্বকে প্রজন্মের যুব-কিশোর/আবালবৃদ্ধ বনিতা ও বিশ্বের ৬ শত কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া।

আওয়ামী লীগ নিসন্দেহে আরো আগেই এ কাজটি করতে পারতো, কিন্তু করেনি ভালো উপদেষ্টা ও ব্যবস্থাপনার অভাবে। অথবা হয়তো বর্তমান সরকার গুরুত্ব দেয়নি। বর্তমান সরকার অথবা আওয়ামী লীগের কোন প্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা ছাড়াই “যে কাজটি আমি মুক্তি বিগত ১৯৯৫ সাল থেকে “উইন্ডোজ৯৫” দিয়ে শুরু করে অদ্যাবধি করে যাচ্ছি। সে কাজটি আওয়ামী লীগের কাজ এবং আমার চেয়ে আওয়ামী লীগই সফল হতো ব্যপকভাবে। আমি মুক্তি একাই ২০০ শত ব্লগ করে যতোটূকুন সম্ভব বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেছি হয়তো কিন্তু আওয়ামী লীগ আমাকে কোন প্রকার উৎসাহ প্রদান করেনি, করলে হয়তো আরো ভালো করতে পারতাম, উৎসাহ পেতাম বরং আওয়ামী নেটওয়ার্কের ঐ সকল ধূর্ত প্রযুক্তিবিশারদ কর্তৃক আমাকে প্রতি পদে পদে হ্যাস্তন্যাস্ত করা হত। ফেচবুকে যে গ্রুপ সবচে’ বেশী জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, সেগুলোকে নেত্রীর নাম দিয়ে হ্যাক করে নিজেদের নামে করে নিয়েছে। আমাকে বিভিন্নভাবে বিরক্ত/ত্যাক্ত/উত্ত্যক্ত করা হতো। আমি বড় প্রত্যাশায় ছিলাম-আওয়ামী লীগ বা কেউ না কেউ আসবে-একদিন, আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের বাংলার কোন না কোন প্রান্ত থেকে কেউ না কেউ জেগে উঠবে” আহবান করবে”

হে মুজিবসেনারা, ওঠো, জেগে ঊঠো, বাংলার ইতিহাস, বাঙ্গালীর ইতিহাস, ৩৩ বছরের দুঃশাসনের ইতিহাস, বাঙ্গালীর মাতৃ ভাষা প্রতিষ্ঠার রক্তক্ষয়ী করুন ইতিহাস, ৬৯ এর আগরতলা মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ও গণ অভ্যন্থানের ইতিহাস, নিপীড়ন/ নির্যাতনের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস, দুই হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী গোপালগঞ্জের টূংগিপাড়ার দামাল ছেলে খোকার দুরন্ত দূর্বার জীবন বৃত্তান্ত পরিস্কার ভাবে দেশ জাতি ও বিশ্বের কোটি মানুষের কাছে তুলে ধরো” 

আমরা ক্ষমতার জন্য আসিনি, অর্থের জন্য আসিনি, কারো গদির দিকে আমাদের ভ্রুক্ষেপ নেই; আমরা জাতিরজনকের আদর্শ ও চেতনায় বিশ্বাসী অনলাইনের বন্ধুরা কেউ ডাকলেও কাজ করবো, না ডাকলেও কাজ করবো।

এই আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু

মোকতেল হোসেন মুক্তি মুক্তিযোদ্ধা সহ সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী তরুণ লীগ সভাপতি সময়’৭১ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ


One thought on “মুক্তির কিছু কথা

Leave a comment